ΕΛΛΗΝΙΚΗ ΕΤΑΙΡΕΙΑ ΑΣΙΑΤΙΚΩΝ ΣΠΟΥΔΩΝΝΕΑ & ΕΚΔΗΛΩΣΕΙΣ

গ্রীসের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

Ο πρέσβης του Μπαγκλαντές κ. Ashud Ahmed παρουσίασε τα διαπιστευτήριά του στην Πρόεδρο της Δημοκτατίας κα. Κατερίνα Σακελλαροπούλου στις 23 Οκτωβρίου στο Προεδρικό Μέγαρο.

গ্রীসে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জনাব আসুদ আহমেদ গ্রীসের রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। গতকাল (২৩ অক্টোবর, ২০২০) সকালে এথেন্সে অবস্থিত গ্রীক প্রেসিডেন্সি ভবনে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে গ্রীক রাষ্ট্রপতি মিসেজ কাতেরিনা সেকেল্লারাপুলোর কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তার পরিচয়পত্র পেশ ধরেন।

পরিচয়পত্র পেশের পর গ্রীক রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গ্রীক রাষ্ট্রপতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাকে গ্রহণ করার জন্য গ্রীক রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং তাকে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। তিনি গ্রীস সরকারের সার্বিক সমর্থন প্রত্যাশা করে তাঁর পূর্বসূরীর ন্যায় তাকেও সহযোগিতা প্রদানের জন্য আহ্বান জানান। বাংলাদেশ ও গ্রীসের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের স্বার্থে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরেই যেসব দেশ বাংলাদেশকে প্রথমে স্বীকৃতি দিয়েছিলো গ্রীস তাদের অন্যতম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশেষত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গ্রীক রাষ্ট্রপতিকে দুদেশের সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে জাহাজ নির্মাণ, পর্যটন, পোশাকশিল্প ও জ্বালানিসহ অন্যান্য খাত সম্পর্কে অবহিত করেন। বাংলাদেশ সরকারের ব্যবসা-বান্ধব নীতিমালা এবং বিনিয়োগকারী জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা সম্পর্কেও তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গত বছর গ্রীসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফল দ্বিপক্ষীয় সফরের বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন যে, পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে গ্রীসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশে ফিরতি সফরে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল অন্তর্ভূক্ত হতে পারেন যাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলি দুটি ব্যবসায়ী সম্প্রদায় নিজেরাই দেখতে পারেন।

মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন প্রদেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১.১ মিলিয়ন (রোহিঙ্গা) মিয়ানমারের জনগণকে মানবিক বিবেচনায় গত ৪ বছর ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার যে অনন্য নিদর্শন বাংলাদেশ স্থাপন করেছে, সে বিষয়টি উল্লেখ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারের নাগরিকদেরকে তাদের স্বদেশে ফেরত নেয়ার বিষয়ে গ্রীক সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

গ্রীক রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের উত্থাপিত বিষয়সমূহকে অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করে এসকল বিষয়ে তার সার্বিক সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি গ্রীসে অবস্থানকালে রাষ্ট্রদূতের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তার দায়িত্বপালনের সময়ে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বেগবান হবে। তিনি দুদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ে তার সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন এবং আগামী দিনগুলোতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক নিবিঢ়তর বলে আশা প্রকাশ করেন। গ্রীক রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বৈঠকে গ্রীক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সচিব এবং রাষ্ট্রাচার প্রধান উপস্থিত ছিলেন।